কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, সরকার চায় না কেউ এক হোক। এজন্য আমার পেছনে একজন লেগে আছে। রব ভাইয়ের পেছনে একজন লেগে আছে। এস এম আকরামের পেছনে এজন লেগে আছে। কামার ভাইয়ের (ড. কামাল হোসেন) পেছনে একজন লেগে আছে। সবার পেছনে একটা শয়তান লেগে আছে। শুক্রবার রাজধানীর একটি মিলনায়তনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক জোট আয়োজিত ‘বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে শ্রমিক শ্রেণির করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবীর একথা বলেন। বঙ্গবীর বলেন, আমি জনগণের ক্ষমতা দেখতে চাই। চাই সরকার চলবে জনগণের কথায়। জনগণই হবে সব কিছুর মালিক। তবে রাজনীতি এখন কৃষকের হাতে নেই। শ্রমিকের রাজনীতিও তাদের হাতে নেই। তিনি বলেন, কৃষকের রাজনীতি যদি ব্যারিস্টারের হাতে চলে যায় তাহলে দেশ এগুবে না। সভায় জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনেই শ্রমিক শ্রেণি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। মহান মুক্তিযুদ্ধেও শ্রমিকদের ভূমিকা অবিস্মরণীয়। আজকে চলছে নির্বাচনের নামে প্রহসন। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্যও শ্রমিক শ্রেণিকে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি সব শিল্প-কল-কারখানায় অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার এবং এসব প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজমেন্টে শ্রমিক-কর্মচারীদের অংশীদারিত্বের দাবি জানান। তিনি বলেন, সরকার বলছে দেশে উন্নয়নের জোয়ার বইছে অথচ আমাদের রফতানি দিন দিন কমছে, কমছে কর্ম সংস্থানের হার। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্যও রাজনৈতিক আন্দোলনের সাথে শ্রমিক শ্রেণিকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। জেএসডি সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন বলেন, দেশে যে লাখ লাখ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়। এসব রাজস্ব শ্রমিক-কৃষক ও মধ্যবিত্ত শ্রেণিই প্রদান করে। ধনিক শ্রেণি ট্যাক্সের নামে যা দেয় তা শ্রমিক-কৃষক, মধ্যবিত্ত শ্রেণির কাছ থেকে দ্বিগুন হারে আদায় করে নেয়। অথচ শ্রমিকদের কল্যাণে সে টাকা দেয়া হয় না। এ অবস্থা পরিবর্তনের জন্য দেশের সব পর্যায়ের স্থানীয় সরকার ও পার্লামেন্টে শ্রমিকদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক জোটের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এয়ার আহম্মেদের সভাপতিত্বে ও শ্রমিক জোটের সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেনের সঞ্চালনায় এ আলোচনা সভায় নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, উপদেষ্টা এস এম আকরামসহ জেএসডি নেতা এম এ গোফরান, আতাউল করিম ফারুক, মো: সিরাজ মিয়া, তানিয়া রব, শহীদ উদ্দীন মাহমুদ স্বপন, কামাল উদ্দীন পাটোয়ারী, আবদুর রাজ্জাক রাজা, আবদুর রাজ্জাক রাজা, এস এম সামসুল আলম নিক্সন, শ্রমিক নেতা নোমানুজ্জামান, আবুল হোসেন মিয়া, আবদুল আউয়াল, এবিএম জামাল উদ্দীন, অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দীন, গাজী আলম, বেলাল হোসেন, বদরুদ্দোজা, আবদুস সাত্তার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।